logo

হোম

কাস্টমস্ এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় ভিত্তিক একটি জনকল্যাণমূলক সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবসর গ্রহনের পর থেকে আমরা সবাই তাগিদ অনুভব করে আসছিলাম । দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ কল্পে গত ২৮/০৪/২০১১ ইং তারিখে ৮/১১, লালমাটিয়া সি-ব্লক, ঢাকা-১২০৭ এ একটি সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত সভায় বিপুল সংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন । সভায় সর্ভসম্মত ‍সিদ্ধান্ত  ক্রমে জনাব মোঃ জাহিদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (অবঃ) কে আহবায়ক এবং জনাব আবু সাঈদ ইলিয়াস, সহকারী কমিশনার (অবঃ) কে সদস্য-সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় । উক্ত আহবায়ক কমিটিকে সংগঠনটির একটি খসড়া গঠনতন্ত্র তৈয়ারীর দায়িত্ব দেয়া হয় । গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের নাম নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ

আহবায়ক : জনাব মোঃ জাহিদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (অবঃ)
যুগ্ন আহবায়ক : জনাব মোঃ জালাল উদ্দিন, সুপারিনটেনডেন্ট (অবঃ)
যুগ্ন আহবায়ক : জনাব মোঃ আব্দুল খালেক সিকদার, সুপারিনটেনডেন্ট (অবঃ)
সদস্য সচিব : জনাব আবু সাঈদ ইলিয়াস, সহকারী কমিশনার (অবঃ)
সহকারী সদস্য ‍সচিব : জনাব আবু মোঃ সায়েম, সুপারিনটেনডেন্ট (অবঃ)
অর্থ সচিব : জনাব নঈমুর রহমান, সুপারিনটেনডেন্ট (অবঃ)
সদস্য : জনাব শের আলম খান, সহকারী কমিশনার (অবঃ)
: জনাব সাইফউদ্দিন আহম্মেদ, সুপারিনটেনডেন্ট (অবঃ)
: জনাব এস. এম. আলিয়ার রহমান, সহকারী কমিশনার (অবঃ)
: জনাব জেড. কিউ খান, সহকারী কমিশনার (অবঃ)
: জনাব এম এম শাহীদুর রহমান, , সুপারিনটেনডেন্ট (অবঃ)
: জনাব আব্দুল জলিল মিয়া, সহকারী কমিশনার (অবঃ)
: জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন, ইন্সপেক্টর (অবঃ)
: জনাব এস. এম. আব্দুল্লাহ সেলিম, সুপারিনটেনডেন্ট (অবঃ)

শুল্ক কর্মকান্ডের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায় যে, মোগল সম্রাট আকবরের আমলে সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে আমদানী/রপ্তানী বানিজ্যে বিধিবদ্ধভাবে শুল্ক কার্যক্রম চালু হয়েছিল ।

অতঃপর বৃটিশ আমলে ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সরকার শুল্ক আহরণের লক্ষ্যে দি সি কাস্টমস্ এ্যাক্ট ১৮৮৪ আইন পাশ করে, যা এই উপমহাদেশে বলবৎ করা হয় । অতঃপর আবগারী কর আহরন করার জন্য দি এক্সাইজ এন্ড সল্ট এ্যাক্ট ১৯৪৪ নামে একটি আইন প্রণীত হয় । যা আবগারী ও লবনকর আইন নামে বিশেষ পরিচিতি লাভ করে । পাকিস্তান আমলে দি সি কাস্টমস্ এ্যাক্ট ১৮৮৪ কে আরও পরিমার্জন করে দি কাস্টমস্ এ্যাক্ট ১৯৬৯ পাশ করা হয় ।

১৯৭১ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের পর যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো তথা সার্বিক উন্নয়নে স্বাধীনতা প্রজম্ন অত্র বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্থনীতির ভিত্তি রচনায় বিশেষ ভূমিকা জাতির জন্য মাইল ফলক হয়ে থাকবে । শৌর্যবীর্যের অধিকারী প্রজন্ম আজ বার্ধক্যে উপনীত, তাদের সুখ দুঃখ, হাসি কান্না ভাগাভাগি করার মানসে আমরা সংগঠনটি গঠনের প্রয়াস অনুভব করি । ১৯৯১ সালে দি এক্সাইজ এন্ড সল্ট এ্যাক্ট ১৯৪৪ এবং সেলস্ ট্যাক্ট এ্যাক্টকে একীভূত করে ভেল্যু এ্যাডেড ট্যাক্স ১৯৯১ বা মূল্য সংযোজন কর আইন নামে একটি যুগান্তকারী আইন পাশ করা হয় । যা রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে আসছে । ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ১৯৭২ সালে অধ্যাদেশ নং-৭৬/১৯৭২ বলে অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয়  রাজস্ব বোর্ড গঠন করা হয় । বাংলাদেশের ইতিহাসে শুল্ক, আবগারী ও ভ্যাট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান কর্মকর্তাগণ জাতীয় রাজস্ব আহরণে তথা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রেখে আসছে । বাংলাদেশের জনগন এ বিভাগকে গর্বের সাথে শ্রদ্ধা করে থাকে ।

সার্বিক প্রেক্ষাপটে এ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে রিটায়ার্ড কাস্টমস্ অফিসাস্ ওয়েফেয়ার এসোসিয়েশন (RECOWA) নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । সমগ্র বাংলাদেশের আনাচে কানাচে অবস্থানরত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এক পতাকাতলে সমবেত করে পরস্পরের সুখ-দুঃখ, সৌহার্দ্য, সৌভ্রাতৃত্ব জাগিয়ে তোলার প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের এক নবযুগের সূচনা হোক এটাই আমাদের আন্তরিক কামনা ।

মোঃ জাহিদ হোসেন মোঃ আবু সাঈদ ইলিয়াস
আহবায়ক সদস্য-সচিব
গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি । গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি ।